মোঃ শাফায়েত উল্লাহ্ শান্ত (বিশেষ প্রতিনিধি) ফুলপুরে শত বছরের চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ফুলপুর ময়মনসিংহ,উপজেলা চেয়ারম্যান ফুলপুর উপজেলা,ও বালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর বরাবর অভিযোগ দায়ের পর শত বছরের রাস্তাটিতে স্টিলের গেইট ও ইটের বেষ্টনীতে ঘেরাও চলাচলে প্রতিবন্ধকতা খাস হালটের প্রায় এক কেলোঃ রাস্তা অবৈধ দখলদারদের কবলে যাতায়াত ভোগান্তিতে শতাধিক পরিবার ।
ময়মনসিংহের ফুলপুরের বালিয়া ইউনিয়নের গ্রামীণ ব্যাংকের পূর্ব দিকে রফিকুল ইসলামের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় শতাধীক পরিবার বসবাস করে আসছে। বালিয়া বাজারসহ আশপাশের স্কুল -মাদ্রাসার যাতায়াতের জন্যে শতবছরের পুরাতন একটি রাস্তা দিয়ে সেখানের বাসিন্দারা চলাচল করতো। গত ৯/৫/২৩ ইং দুপুরে উক্ত রাস্তা টিতে বাঁশ খুটি ও নেটজাল দিয়ে পথরোধ করে একটি মহল প্রতিহিংসাত্ত্বত আচরণে অপারের লোকজনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরে নিজেদের জেদ হাসিল করার পায়তারা করছে। ফলে বাজারের পূর্ব পাশে বসবাসরত শতাধীক পরিবারের হাজার হাজার মানুষ একটি বিছিন্ন ভূমিতে যেনো পরিণত হয়ছে, প্রতিদিন যাতায়াত ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। স্কুল মাদ্রাসার ছাত্র -ছাত্রীদের প্রতিষ্ঠানে যেতে ১কেলোঃ ঘুরে বা ধান ক্ষেতের প্যাক- কাঁদা গাঁয়ে মেখে যাতায়াত করে কঠিন ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছে।
সরেজমিন ঘটনাস্থলে ২১দিন পর গিয়ে জানতে পারি, উক্ত রাস্তাটি ব্রিটিশ আমল থেকে ব্যাবহার করা হচ্ছে, বালিয়া বাজার, ইউনিয়ন পরিষদে, স্কুল ও মাদ্রাসায় যাতায়াতের সুব্যাবস্থা ছিলো এ-ই রাস্তাটি, তবে বিগত বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি মহল নিজেদের স্বার্থে বেঘাত ঘটলে রাস্তাটি বল্ক করে অপারের লোকজনের যাতায়তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাদের ভোগান্তিতে ফেলে তারপর আবার তাদের স্বার্থ হাসিল হলে রাস্তাটি আবার যাতায়াত উপযোগী করে দেই।। তবে গতি ৯ই মে উক্ত রাস্তাটিকে বাঁশ,খুটি ও নেটজাল দিয়ে আটকিয়ে দেয়ার পর এখন পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলে উন্মুক্ত না করায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নিকট গত ৩১/৫/২৩ইং বুধবার দুপুরে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পি'আই,ও স্যার ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় লোকজনের বক্তব্য ও খাস হালট জায়গার নকশা উদ্ধারপূর্বক রাস্তায় প্রতিবন্ধকতাকারী ও ক্ষতিগ্রস্ত উভয়কে উপজেলা কার্যালয়ে চা'য়ের দাওয়াতের আহ্বান করলে এক পক্ষ যাচ্ছেনা এবং আরো নতুন করে গেইট তৈরির মাধ্যমে রাস্তাটি পুরোপুরিভাবে অচল করে দিয়েছে। ফলে এই জটিল বিষয়টির কোনো সঠিক সমাধানে উপনীত হচ্ছেনা বলে শতাধীক পরিবার যাতায়াত ভোগান্তির চরম পর্যায়ে পৌছেছে।সামনে বর্ষাকাল আসায় ভুক্তভোগীদের সমস্যা আরো বেড়ে যাওয়ার আশংকা করে এলাকার সচেতন মহল মতব্যাক্ত করেন।
ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর দাবি উক্ত রাস্তাটিকে পূর্বের ন্যায় চালু করে দিয়ে যাতায়ত উপযোগী করতে ও খাস হালট রাস্তাটি উদ্ধার পূর্বক বিনির্মাণে উর্ধ্বতন সকল কর্তৃপক্ষের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমলে নিয়ে লোকজনের যাতায়াত ভোগান্তি লাঘবে কাজ করে সুষ্ঠু সমাধান দেই।