1. admin@baliapratidin.com : admin :
  2. info.popularhostbd@gmail.com : PopularHostBD :
রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন

রমজানে জান্নাতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়

বালিয়া প্রতিদিন (ফুলপুর,ময়মনসিংহ)।
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

রমজানে জান্নাতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়

এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
“রামাদান মাস যখন আগমন করে তখন জান্নাতের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়, এবং জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়, এবং শয়তানগেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।” বুখারী, আস-সহীহ ২/৬৭২, ৩/১১৯৪; মুসলিম, আস-সহীহ ২/৭৫৮।
“তোমাদের নিকট রামাদান মাস এসেছে। এই মাসটি বরকতময়। আল্লাহ তোমাদের উপর এই মাসের সিয়াম ফরয করেছেন। এই মাসে আসমানের দরজাগুলি খুলে দেওয়া হয়। এবং এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মাসে দুর্বিনীত শয়তানদেরকে শৃঙ্খলিত করা হয়। এই মাসে এমন একটি রাত আছে যা এক হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি সেই রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত সে একেবারেই বঞ্চিত হতভাগা।” নাসাঈ, আস-সুনান ৪/১২৯; আলবানী, সহীহুত তারগীব ১/২৪১। হাদীসটি সহীহ।
রমাদানের একটি মাস রোজা রাখা আমাদের জন্য ফরজ। আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লা বলেন:
“হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর সিয়াম লিপিবদ্ধ (ফরয) করা হয়েছে, যেরূপভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর তা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” সূরা বাকারা: ১৮৩ আয়াত।
আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লা এই আয়াতে বলেছেন যে, সিয়ামের মাধ্যমে তাকওয়া অর্জন হবে। তাক্কওয়া অর্থ- হৃদয়ের মধ্যে আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে বেঁচে থাকার এবং তাঁর শাস্তি থেকে আত্মরক্ষার সার্বক্ষণিক অনুভূতি। তাক্কওয়া বুঝতে হলে আরও ভাল করে অনুধাবন করতে হবে, যে কোনো কথা, কর্ম বা চিন্তার আগেই আপনার মনে হবে, এতে আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লা খুশি না বেজার হবেন। যদি আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লার অসন্তুষ্টির বিষয় হয় তবে কোনো অবস্থাতেই আপনার হৃদয় সে কাজ আপনাকে করতে দেবে না। এরই নাম তাক্কওয়া।
আর এ কথা সত্য যে, পরিপূর্ণ তাকওয়া আমরা সিয়ামের মাধ্যমে অর্জন করতে পারছি না। আমরা দেখি, একজন রোজাদার প্রচণ্ড ক্ষুধা বা পিপাসায় কাতর হয়েও কোনো অবস্থাতে পানাহার করতে রাজি হন না। নিজের ঘরের মধ্যে, একাকী, নির্জনে সকল মানুষের অজান্তে ক্ষুধা কিংবা পিপাসা মেটানোর সুযোগ থাকলেও তিনি তা মেটান না। কারণ তিনি জানেন তা করলে দুনিয়ার কেউ না জানলেও আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লা অবশ্যই জানবেন এবং তিনি অসন্তুষ্ট হবেন। এটা হলো তাক্কওয়ার প্রকাশ। কিন্তু এর পাশাপাশি আমরা কী দেখি? দেখতে পাই, এ ব্যক্তিই রোযা অবস্থায় বা অন্য সময়ে এর চেয়ে অনেক কম ক্ষুধা পিপাসায় বা ছোট প্রলোভনে সুদ, ঘুষ, মিথ্যা, গীবত, ভেজাল, ওজনে ফাঁকি, কর্মে ফাঁকি, অন্যের পাওনা না দেওয়া ও অন্যান্য কঠিনতম পাপের মধ্যে অনায়াসে নিমজ্জিত হচ্ছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এরূপ হচ্ছে? এর অন্যতম কারণ হলো আমরা মহান আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লা প্রদত্ত প্রেসক্রিপশন পাল্টে ফেলেছি। কোনো রোগে যদি ডাক্তার দুটি বা তিনটি ঔষধ দেন, আর রোগী একটি ঔষধ খেয়ে সুস্থ হতে চান তাহলে তিনি প্রকৃত সুস্থতা লাভ করতে পারবেন না। মহান আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লা তাক্কওয়া অর্জনের জন্য আমাদেরকে দু’টি বিষয় একত্রে দিয়েছেন: সিয়াম এবং কুরআন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা সিয়াম গ্রহন করেছি এবং কুরআন ছেড়ে দিয়েছি। এজন্য প্রকৃত ও পরিপূর্ণ তাক্কওয়া অর্জন করতে পারছি না। আল্লাহ ছুবহা-নাহু ওয়াতাআ’-লা ইরশাদ করেন:
“রামাদান মাস। এতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে।” সূরা বাকারা: ১৮৫ আয়াত।

আল্লাহ পাক আমাদের রমাদানের পরিপূর্ন হক্ক আদায় করে রোজা রাখার তাওফিক দান করুন। তাঁর পবিত্র কালাম মহাগ্রন্থ আল কুরআন শেখার বুঝার এবং আমল করার যোগ্যতা দানে ধন্য করুন…..আমিন।

ক্বারী মাওলানা শাফায়েত উল্লাহ্‌ (শান্ত)
বালিয়া, ফুলপুর, ময়মনসিংহ।

সংবাদ টি শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved
Design BY POPULAR HOST BD