(বিশেষ প্রতিনিধি)ময়মনসিংহের ফুলপুর ৫নং সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আলোকদি গ্রামে বাবুলের দোকানের সামনে ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় শ্যামল নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।ঘটনা স্থলে গিয়ে জানা গেছে, ভিকটিম শ্যামল (২৭) ফুলপুর উপজেলা ৫নং সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আলোকদি গ্রামের মৃত- হযরত আলী ম্যানেজার ছোট ছেলে। পরিবারের সূত্রে জানা যায় সে বালু ও ড্র্রাম ট্রাকের ব্যবসায়ী। তার পরিবারে ৫ ভাই ও ২ বোন, ভিকটিম সবার ছোট।
ঘনটাটি ঘটে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আলোকদি গ্রামের কাঁচা রাস্তায় জনৈক বাবুল এর দেকানের সামনে উপর্যুপরি কুপাইয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত গুরুতর জখম ও মাথা সহ রাম দা দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে পরে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরন করে শ্যামল। খবর পেয়ে ফুলপুর থানা পুলিশ ঘটনার স্থলে গিয়ে এলাকা নিয়ন্ত্রণ আনে পুলিশ। এবং
ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুক্তভোগী পরিবার কে আশ্বস্ত করে বলেন এই খুনের সাথে যারাই জড়িত আছে একটা একটা করে আসামি খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান,এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন যারা এই খুনের সাথে জড়িত রয়েছে তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। পরে শ্যামল হত্যার ঘটনায় ফুলপুর থানার সুদক্ষ অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলের কাছে একটি ফিশারির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনের আলামত সহ মনজুরুল হক নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। সে ঘটনাস্থলের কাছের দৌলত আলীর পুত্র। ঘাতক মনজুরুল হক কে আটক করে থানা পুলিশ।এলাকার লোক মুখে শোনা যায় সে মাদকাসক্ত ও অনেকটাই মানসিক ভারসাম্যহীন।
এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠু তদন্ত করে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করার অনুরোধ। এখনো জানা যায়নি
শ্যামল হত্যার কারণ ও আসল রহস্য । প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে একটি মহল এ ঘটনার ইন্দন দাতা হতে পারে বলে এলাকাবাসীর অনেকেই মনে করছেন।পরে লাশের সুরতহাল রির্পোট প্রস্তুতসহ ময়না তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা চলমান রয়েছে। উক্ত বিষয়ে আসামী সনাক্তসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।