আমি খাদিজা নোমান সাথী, পিতা খসরু নোমান। আমি বর্তমানে খন্ডকালীন নিয়োগে সাভার উপজেলাধীন মির্জা গোলাম হাফিজ কলেজে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছি। গত ১৮ আগস্ট ২০২২ তারিখে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় মির্জা গোলাম হাফিজ কলেজে ৫ বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পরে আমি বাংলা বিভাগের নিয়োগের জন্য আবেদন করি।
তার ভিতরে দুটি বিভাগের এক্সপার্ট না পাওয়ার কারণে তিনটি বিভাগের পরিক্ষার জন্য ১৪ জুন ২০২৩ তারিখ ধার্য্য করা হয়। কিন্তু বাংলা বিভাগের নিয়োগে নিয়োগ বানিজ্যের মিথ্যা অভিযোগ তুলে উক্ত পরিক্ষা বাতিল করা হয়। যাতে আমার নিয়োগ প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে।
উল্লেখ্য এক্সপার্ট না পেয়ে স্থগিত হওয়া সমাজকর্মের প্রার্থী সাইদুল ইসলাম (২০১৬ সালে ভালুম আতাউর রহমান খান কলেজের সমাজকর্ম বিভাগ হতে, “জামায়েত শিবিরের সক্রিয় সদস্য হয়ে” রাষ্ট্রদ্রোহিতায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে বহিষ্কৃত হয়) মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করে “আলোকিত বাংলাদেশ” অনলাইন নিউজ পোর্টাল “প্রভাষক নিয়োগে মোটা অংকের লেনদেন” শিরোনামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করায়, সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম পরীক্ষা স্থগিত করতে বাধ্য হয়।
এতে তাকে সকল তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন সমাজকর্মের প্রার্থী সাইফুল ইসলামের সহধর্মিণী জিনাত রেহানা, প্রভাষক সমাজকর্ম বিভাগ মির্জা গোলাম হাফিজ কলেজ। পৌর নীতি ও সুশাষন বিভাগের প্রভাষক ঝুমা রানী বিশ্বাস আমাকে বিভিন্নভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার জন্য ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন এবং বলেন, এখানে স্থানীয় প্রভাবশালীদের প্রার্থী আছে। ঝুমা রানী বিশ্বাস এমপিও আবেদন করার লোভে মরিয়া হয়ে বাংলা বিভাগ বাদদিয়ে তড়িঘড়ি হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছেন।
যদি ও ডিগ্রি শাখায় এখনও একটা রেজাল্ট ও হয়নি তবুও তারা এমপিও আবেদন করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যেখানে এমপিও আবেদন করার জন্য কমপক্ষে ৩ বছরের পরীক্ষার রেজাল্ট জমা দিতে হয়। তাই আমার প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুন্ন হওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। খাদিজা নোমান সাথী আবেদনকারী, বাংলা বিভাগ, মির্জা গোলাম হাফিজ কলেজ, সাভার ঢাকা।